মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৩

কাদের মোল্লার করা দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন আবেদন খারিজ

ঢাকা : দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে বিচারকার্য থেকে তাদের বিরত রাখতে ট্রাইব্যুনালে আবদুল কাদের মোল্লার করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
বিচারপতি এস কে সিনহা ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লার মামলার শুনানি থেকে বিরত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন গত ৩ এপ্রিল এই আবেদন করেন।
এর মধ্যে বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে কথিত স্কাইপি কথোপথনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিষয়ে আবেদনে বলা হয়, গত বছর তিনি লন্ডনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একটি সভায় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, দুই বিচারককে বিরত রাখার ওই আবেদন গ্রহণ করার কোনো কারণ আদালত দেখছে না। 
একাত্তরে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ না আসায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ায় গত ৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অন্যদিকে অভিযোগ থেকে খালাসের আবেদন জানিয়ে পরদিন আপিল করেন কাদের মোল্লা। আইনে আপিল বিভাগে ৬০ দিনের মধ্যে এ ধরনের আপিল নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে।
গত ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নতুন চার বিচারপতি শপথ নেয়ার পর প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগে দুইটি বেঞ্চ গঠন করে দেন।
এর একটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি নিজেই।  বেঞ্চের অন্য পাঁচ বিচারক হলেন, বিচারপতি এস কে সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এই বেঞ্চেই কাদের মোল্লার মামলার আপিল শুনানি চলছে।
ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং একটি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
এর মধ্য দুটি অভিযোগে কাদের মোল্লার ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হয়। আর অন্য দুটি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।