ঢাকা, ডেস্ক রিপোর্ট : ৩২তম বিসিএস পরীক্ষায় (বিশেষ কোটা) যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৩৩তম বিসিএস থেকে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ১,১২৫টি শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১০ সালের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল বিশেষ কোটা পূরণ না হলে তা খালি থাকবে। এ আনুযায়ী এ বছরে সহকারী সার্জন ও মুক্তিযোদ্ধাকোটা খালি রাখা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে ৫২৮ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কোটা হিসেবে মেধায় ৪৫ভাগ, জেলা-৫৫ ভাগ এর মধ্যে রয়েছে (মুক্তিযোদ্ধ-৩০, নারী-১০, উপজাতি-৫ এবং জেলা-১০) সংরক্ষিত কোটা পূরণ না হওয়ায় শূন্য থাকে ১,১২৫টি পদ। আগামী ৩৩তম বিসিএস থেকে (কৃষি, মৎস্য, ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশা) এ পদ পূরণ করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভায় বর্তমান সরকারের ৪ বছর ৩ মাসের (মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন) একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৩ সালের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়।
তিনি দাখিলকৃত প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সরকারের (৬ জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৩) সময়কালে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে ১৯৫টি, গৃহীত সিদ্ধান্ত ১২৮০টি, অনুমোদিত নীতি বা কর্মকৌশল ৪০টি, অনুমোদিত চুক্তি ১০৭টি, সংসদে পাসকৃত আইন ২১৫টি। এ সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ১,১৮৪টি যা মোট সিদ্ধান্তের ৯৩ ভাগ। এ অর্জনে মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
অপরদিকে বিএনপি জোট সরকারের ৪ বছর ৩ মাসে (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছাড়া) মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে ১৮১টি, গৃহীত সিদ্ধান্ত ৬৪৭টি, অনুমোদিত নীতি বা কর্মকৌমল ২১টি, অনুমোদিত চুক্তি ৫৬টি, সংসদে পাসকৃত আইন ১৩৭টি। এসময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ৫০২টি যা মোট সিদ্ধান্তের ৭৭ দশমিক ৬ ভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ২ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদেলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে সভাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।