ফাইল ফটো |
নিউজডেস্ক : হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে হীরা চুরি হয়েছে। আর এ ঘটনায় সন্দেহের তীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা কর্মী ও কার্গো বিভাগের কর্মীদের দিকে। এ ঘটনায় বিমাবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও বিমানের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে সংরক্ষিত এলাকার একটি এই কার্গো গুদামটি। আমদানি পণ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি সামগ্রী এখানে রাখা হয়। আর এ কার্গো গুদামটির দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। বিমান সূত্রে জানা গেছে, চুরি হওয়া একটি হীরার দাম ৭ লাখ টাকা। অন্যটির দাম নির্ধারণ করা যায়নি।মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়ে কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য রাখার গুদামে চুরির ঘটনা ঘটে। কার্গো ভিলেজের এ স্থানটি অত্যন্ত সংরক্ষিত এলাকা। কয়েকটি নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে এ গুদামে যেতে হয়। এখানে সাধারণত মূল্যবান সামগ্রী সোনা, হীরা, মূল্যবান ধাতু ও রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষিত থাকে। সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব এর অভিভাবক বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে। তবে কার্গো ভিলেজ এলাকার পুরো দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। আমর্ড পুলিশ, আনসার কিংবা বিমানবন্দরের অন্য নিরাপত্তা কর্মীরা কার্গো ভিলেজের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। এর ভেতরসহ পুরো কার্গো ভিলেজের দায়িত্ব পালন করেন বিমানেরই নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা।
জানা গেছে, চুরি হলেও গুদামের বাইরের তালা অক্ষত রয়েছে। আর এ কারণে গোয়েন্দা পুলিশ ধারণা করছে ভেতর থেকেই কেউ চুরি করেছেন। আর এ কারণে বিষয়টি নিয়ে বিমানে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিমানের কর্মীদের সহায়তা কিংবা তারা নিজেরা ছাড়া কারো পক্ষে এখান থেকে বাইরের তালা না ভেঙে চুরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কার্গো বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার আলী আহসান, ম্যানেজার (আমদানি) মনজুরুল হকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিলও কিছু বলছেন না। তবে এ ব্যাপারে বিমানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শিগগিরই চুরির ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা বের হয়ে আসবে। ভেতর থেকেই কেউ চুরি করেছেন। বাইরের কারো পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়। তিনি এখানে কাজ করা এজেন্সির দিকে ইঙ্গিত করেন।
মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, চুরির ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (বিমানবন্দর) কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি দল এরই মধ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। দু’একদিনের মধ্যে এর তদন্তভার আনুষ্ঠানিকভাবে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ন্যস্ত হতে পারে। এ বিষয়ে বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সিনিয়র এএসপি জাহেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছু জানতেন না। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলার পর তারা সবকিছু জেনেছেন। বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (নিরাপত্তা) মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।