ঢাকা: অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাসভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও কাজের ধরণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মধ্যে কাজের বৈশিষ্ট্য, পরবর্তী স্পিকার নির্বাচন প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, প্রায় দেড় ঘন্টার বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। সেখানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি স্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে পরবর্তী স্পিকার কে হবেন তা নিয়েও আলোচনা হয়। কারণ, রাষ্ট্রপতি দায়িত্বশীল যে কেউ হতে পারেন। তবে স্পিকার হতে হলে সংসদ সদস্য হতে হবে। আবার সংসদ পরিচালনায় ওই সদস্যকে দক্ষ হতে হবে। সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। সূত্র আরো জানায়, আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতির কাজের ধরণ নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দফতরের সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারের কাজে রাষ্ট্রপতি কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন সে বিষয়েও কথা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউথ এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। এর পর ২৭ মার্চ থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আব্দুল হামিদ বঙ্গভবনে অফিস শুরু করলেও ভবন এলাকায় স্পিকারের বাসভবনেই রয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে সদস্যদের প্রকাশ্য ভোটে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য ২১ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ সময়। এদিকে কে হচ্ছেন নতুন রাষ্ট্রপতি, কাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করছে- এটি সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এটি ছিলো সৌজন্য সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন।” এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।