ঢাকা: হামলা ও ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল হানিফ। শনিবার বিকেলে তার বাসা লক্ষ করে ককটেল ছুড়ে মারা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক গুলশানের আজাদ মসজিদের কাছে ৫/এ নম্বর সড়কের ১৫৫ নম্বর বাসা (এ বাসাতেই হানিফ থাকেন) লক্ষ করে তিনটি ককটেল ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তবে ককটেল তিনটি বিস্ফোরিত হয়নি। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ ও ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। মাহবুব-উল হানিফ বলেন, “যারা হামলা করেছে, তারা বিরোধী দলীয় লোক। আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এ হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কোনো হামলা বা ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। তবে যারা হামলা করেছে, তারা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়নি। আমি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কথাই বলে এসেছি।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “কারো সঙ্গে আমার বিরোধ নেই। তবে সরকারকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা এ হামলা করেছে।” তিনি জামায়াত ও বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, “দেশের স্বার্থে আমি বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপির অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছি। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশে এ কাজ করতে পারে। আর আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে এসেছি। আমি বিরোধী দলের অপরাজনীতি সম্পর্কে বলেই যাবো।” এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি লুৎফুল কবির বলেন, “যারা এ হামলা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা যতদ্রুত সম্ভব জড়িতদের আটক করবো। ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসেছে। ঘটনাটি তারা তদন্ত করছেন।” আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা কিনা এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের কিছু বলেন নি। তবে হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ তারিক-উল ইসলাম টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, “শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে বোমা ককটেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। ককটেল ছোড়ায় মাহবুব-উল হানিফের বাসার জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তবে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়নি।” এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল হানিফের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিকেল সোয়া চারটার দিকে হানিফ সাহেবের স্ত্রী ফৌজিয়া বাসার মূল ফটক খোলার সময় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে পর পর তিনটি ককটেল ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। তিনি কাউকে চিনতে পারেননি বলে সাংবাদিকদের জানান। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।