বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৩

হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ প্রতিরোধে গণজাগরণ মঞ্চের ২২ ঘণ্টা অবরোধ

ঢাকা : হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকাতে ২২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশব্যাপী এ অবরোধ চলবে। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘২৬ মার্চ গণজাগরণ মঞ্জ ঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচিকে লক্ষ করে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘একটি মহল’।’’ গণজাগরণ মঞ্জের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, “আমরা সব পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, আপনারা আমাদের অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন।
আমরা সব বাস মালিক-শ্রমিকের প্রতি, সব রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, লঞ্চের মালিক-শ্রমিকদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিকে সফল করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিন।” এদিকে, হেফাজত ঠেকাতে ২৫টি সংগঠনের ডাকা শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ডাকা হরতালকে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি ‘সংহতি’ জানানোর কর্মসূচি উল্লেখ করে ডা. ইমরান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একাত্তরে সব বাঙালি যেমন একই শক্তিতে বলীয়ান হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায়, আজও আমরা সেই যূথবদ্ধতার স্মারক দেখতে পেয়েছি।” তিনি এর জন্য ওইসব সংগঠনের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মুখপাত্র বলেন, “যখনই গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি নানা অপকৌশল চালিয়েছে, তখনই দেশব্যাপী সচেতন জনগণ তা প্রতিহত করেছেন।” তিনি বলেন, “আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরের সবখানে প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে। এ আন্দোলনকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্যত হয়েছে বিভিন্ন মহল, নানা অপকৌশলের মাধ্যমে তারা আদতে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এসব মহলের পেছনে স্পষ্টতই জামায়াতে ইসলাম ও শিবিরের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।”