শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৩

কিছু রাজনীতিবিদ মিডিয়ার সামনে ‘স্ট্যান্টবাজি’ করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে : যোগাযোগমন্ত্রী

নিউজডেস্ক : ‘কিছু’ রাজনীতিকদের ‘জ্ঞান’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি কাদের শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সভায় বলেছেন, কিছু রাজনীতিবিদ মিডিয়ার সামনে ‘স্ট্যান্টবাজি’ করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। “এসব রাজনীতিক পড়ালেখা করে না, পড়াশুনা জানে না, বলার মতো জ্ঞান নেই; তবে মিডিয়ার সামনে স্ট্যান্টবাজি করে।” এ ধরনের রাজনীতিকদের কাছ থেকে সাবধান হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাজনীতিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতার কথা তুলে ধরে তা থেকে উত্তরণে দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
“সালিশ মানি তবে তাল গাছটা আমার- এই মানসিকতা থাকলে সমাধান আসবে না।” যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চকে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ‘সুযোগ’ বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তবে আন্দোলনটি দলীয় রাজনীতির বৃত্তে আনার পক্ষপাতি নন তিনি। “আমি গণজাগরণ মঞ্চে একদিনও যাইনি। কারণ আমি এই মঞ্চকে দলীয় ফ্লেবার দিতে চাইনি।” নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ সমাজবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যোগাযোগমন্ত্রী। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাদের ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান ধারারও সমালোচনা করেন। “বর্তমানে চাঁদাবাজির অন্য নাম ছাত্র রাজনীতি। ছাত্রদের পাহারাদার ও খবরদারিতে ব্যবহার করছে রাজনীতিকরা। এমপি, মন্ত্রী, বড় নেতা, পাতি নেতা সবাই নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ছাত্রদের ব্যবহার করে।” অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের দ্রুত বিচার আইনে বিচারের পক্ষেও মত দেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকরা ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করছে, দলবাজী করছে।” ‘জনগণের অধিকার এবং আন্দোলন : সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সমাজবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. মনিরুল ইসলাম খান। এতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবেদ খান, সমাজবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সাদেকা হালিম, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান প্রমুখ।