রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

রানার আশ্রয়দাতাকেও গ্রেফতার করা হবে: টুকু

নিউজডেস্ক : কোন চিহ্নিত ব্যক্তির বাড়িতেও যদি রানা (সোহেল রানা) থাকে তারপরও তাকে গ্রেফতার করা হবে। যে রানাকে আশ্রয় দেবে তাকেও গ্রেফতার করা হবে। রোববার সকালে সাভারে ধসে পড়া ভবন মালিক সোহেল রানার গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। সাভারে ধসে পড়া ভবন, ধ্বংসস্তূপ ও উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সরকার দলীয় সাংসদ মুরাদ জং ভবন মালিক রানাকে উদ্ধার পরবর্তী সময়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি জানেন রানা কোথায় রয়েছে, অনেকেই সন্দেহ করছেন।
সাংসদ মুরাদ জং’র ব্যাপারে সরকারে অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘রানাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে, এরইমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রানাকে রক্ষার চেষ্টা যে করবে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।’ উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ জীবনের স্পন্দন পাওয়া যাবে, ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে। তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিবে।’ উল্লেখ্য, গত বুধবার(২৪ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৬৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৮ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য লাশগুলো হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া শনিবার ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট জীবিত উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৪শ ৭৫ জনে। সাভার পৌর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার মালিকানাধীন এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকান ছিল। ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে ওপর পর্যন্ত কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানা ছিল। এগুলো হলো-নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, নিউ ওয়েভ স্টাইল, নিউ ওয়েভ অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড। ছয় তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়ে নয় তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত নভেম্বর মাসে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়।