রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

অবশেষে পাঁচদিন পর বিজিএমইএ-র তদন্ত কমিটি

ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজা ধসের পাঁচদিন পর  বিজিএমইএ ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সমিতি বিজিএমইএ-এর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।তিনি বলেন, “সরকারের পাশাপাশি আমরা উদ্ধার শ্রমিকদের চিকিৎসার মনিটরিং করছি। বর্তমানে ৪শ ৮১ জন আহত শ্রমিক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”


রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বিজিএমইএয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, “রানা প্লাজায় নিহতদের সরকারের পক্ষ থেকে লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য লাশপ্রতি ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এ ছাড়া সাভারের ভবন ধসে বিজিএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচিকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছ।” তিনি আরও বলেন, “একই সঙ্গে রানা প্লাজা নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার অনুমোদনকারী রাজউক কর্মকর্তাসহ সবাইকে আজকের মধ্যেই গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।” ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, “তাজরীন ফ্যাশনসের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, একইভাবে রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের উত্তরাধিকার চিহ্নিত করে পরিবারগুলোকে সরকার ও বিজিএমইএ ও অন্যান্য সংস্থা মিলে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।”

তিনি জানান, রানা প্লাজার হতাহত শ্রমিকদের জন্য  বিজিএমইএর উদ্যোগে ‘বিজিএমইএ ডিজাস্টার রিলিফ অ্যাকাউন্ট’ নামে একটা অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে আতিকুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন কারখানা ভবনের ফাটলকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কেউ কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।”

তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমাদের একান্ত অনুরোধ, স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি করে দিন, যারা অনতিবিলম্বে সে সব ভবন পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেবেন।” আতিকুল ইসলাম গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা দাবি করে বলেন, “আমরা আগামীকাল সোমবার গার্মেন্টসগুলো খোলার  ঘোষণা দিচ্ছি। সে ক্ষেত্রে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যে কোনো মূল্যে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।”

তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানুগলোর স্থাপনাসমূহে স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও লোড বিয়ারিং ক্যালকুলেশন যথাযথ আছে কিনা, তা বিজিএমইএ জরিপ করবে। এজন্য বিজিএমইও প্রকৌশল বিভাগের জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সালাম মোশের্দী, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন ও বর্তমান পাঁচ সহসভাপতি।