সাভার থেকে: ধসে পড়া ভবনের স্তুপ থেকে ১২৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মৃতদেহ সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলে ৭০টি এবং হাসপাতালে ৫০টি মৃতদেহ। হাসপাতালে রাখা মৃতদেহগুলোর নাম-পরিচয় দেয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে আরো ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেগুলো এনাম মেডিক্যাল নেওয়ার কথা রয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ৭৫ টি লাশ শনাক্ত করে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দায়িত্বরত সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা মোট ১২০টি লাশ উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে ৪৪টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। তবে রাত সময় গড়িয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়ছে।” বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, আপনজনের মৃতদেহ নিতে সার বেঁধে দাঁড়িয়েছেন স্বজনেরা। তবে এনাম মেডিকেল প্রায় ৫০টি লাশ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ শনাক্ত করার জন্য হাসপাতালের দেওয়ালে নাম ঠিকানা টানিয়ে দিয়েছে। এখনো ধসে যাওয়া ভবনের নিচে অসংখ্য মানুষ আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, ৠাব, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটির মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা স্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হলে তিনি পুলিশের সহায়তায় এলাকা ত্যাগ করেন। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রানা প্লাজার প্রথম ও দ্বিতীয় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা। এসব ফ্লোরে পাঁচটি কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। নবম তলার নির্মাণ কাজ চলছিল।
এদিকে, বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদের জোর করে পোশাক কারখানায় হয়েছিল। তারা ভবনের ভেতরে প্রথমে ঢুকতে না চাননি। কারণ আগের দিনই ভবনটির পিলার ধসের ঘটনা ঘটে।