রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৩

হাসনাত আব্দুল হাইকে গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

নিউজডেস্ক :  দৈনিক প্রথম আলোর পহেলা বৈশাখের বিশেষ ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত ছোট গল্প ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’র লেখক হাসনাত আব্দুল হাইকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান।
সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে রিটের পক্ষে লড়বেন রিটকারী নিজেই। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের উপ-কমিশনার, ধানমণ্ডি থানার ওসি ও লেখক হাসনাত আব্দুল হাইকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখের বিশেষ ক্রোড়পত্রে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নারী নেত্রীদের চরিত্র হনন করে লেখা হাসনাত আবদুল হাইয়ের ছোট গল্প ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ ছাপে প্রথম আলো। পরদিন ১৫ এপ্রিল ক্ষমা প্রার্থনা করে অনলাইন সংস্করণ থেকে লেখাটি মুছে ফেলে। ১৬ এপ্রিল এর ছাপা সংস্করণেও ফের ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রথম আলো। ক্ষমা প্রার্থনা করে সম্পাদকের (মতিউর রহমান) বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানায়, “১৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখের প্রথম আলোর বাংলা নববর্ষের ক্রোড়পত্রে হাসনাত আবদুল হাই রচিত ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ শীর্ষক ছোটগল্পে ব্যক্ত মতামত এই পত্রিকার নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অসাবধানতাবশত লেখাটি মুদ্রণের জন্য প্রথম আলো আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এ লেখাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। ইতিমধ্যে লেখাটি অনলাইন সংস্করণ ও ই-পেপার থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।”

গল্পটির লেখক হাসনাত আব্দুল হাইও ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান, তার কোনো গ্রন্থে গল্পটি থাকবে না। এ নিয়ে ফেসকুস, ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোসহ দেশজুড়ে তীব্র ধিক্কার ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।