বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৩

মহাখালীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, একজন নিহত

নিউজডেস্ক : রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মহাখালীর চেয়ারম্যান বাড়িতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শিশু ও একজন নারী আছে। তবে দুর্ঘটনার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর মালবাহী ট্রেনটির একটি কনটেইনার পার্শ্ববর্তী বস্তির কয়েকটি ঘরের ওপর আছড়ে পড়ে।
এসময় ঘরে থাকা মজিবুর রহমান (৩৭), তার শিশুসন্তান (৩) জাহিদুলসহ চারজন আহত হয়। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার পর মজিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঢাকা রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ হতাহতের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত মজিবুরের (৩৭) বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। মুজিবুর ওই বস্তিতেই থাকতেন। আবদুল মজিদ জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা অতিরিক্ত ভারবহন করতে না পেরে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হতে পারে। মালবাহী ট্রেনটি কমলাপুরের ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। কনটেইনারটি মজিবুর শরীরের ওপর পড়ে। তার শরীরের অর্ধেক অংশ কনটেইনারে আটকে ছিল। সিএমএইচে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভ্যানচালক শরীফ, বস্তিবাসী শাহ আলম জানান, কনটেইনারটি এখনো পড়ে আছে। এর নিচে কমপক্ষে ১৫টি ঘর চাপা পড়েছে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বস্তিবাসী মনোয়ারা বেগম সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, “এখানে চারটি ঝুপড়িঘর ছিল। সব ঘরই কন্টেইনারের নিচে চাপা পড়েছে। এসব ঘরে অনেক মানুষ ছিল।” তিনি বলেন, “প্রথমে আমি বিকট শব্দ শুনতে পাই, এরপর ঘরের বাইরে বের হয়ে আসি।” ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) শাহনেওয়াজ জানান, আহত অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও আশেপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কন্টেইনারের নিচে কতজন চাপা পড়ে আছেন, তা এখনি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। আরেকটি লাইন অক্ষত থাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।