ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। ২০১০ সালে পিরোজপুরের সদর ও জিয়ানগর থানায় দায়েরকৃত দু’টি যুদ্ধাপরাধের মামলায় তিনি জামিনের আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ। বুধবার সাঈদীর পক্ষে আবেদনটি করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার আবেদনটির শুনানি ও আদেশ দানের দিন ধার্য করেছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু একই ধরনের অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন, সেহেতু একই ধরনের অন্য কোনো মামলা চলতে পারে না। তাই পিরোজপুরের সদর ও জিয়ানগর থানায় এর আগে দায়েরকৃত মামলা দু’টি চলতে পারে না। তাই তাকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাহাবুব আলম হাওলাদার ও ৬ষ্ঠ সাক্ষী মানিক পসারি বাদী হয়ে ২০০৯ সালে যথাক্রমে পিরোজপুরের সদর ও জিয়ানগর থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা দু’টি করেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে সাঈদীর মামলাটি দিয়েই শুরু হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম। ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন হওয়া সাঈদীর মামলাটিরও (নং: ০১/২০১১) বাদী ছিলেন মাহাবুব আলম হাওলাদার। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের ওই মামলায় সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৮ ও ১০নং অভিযোগে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এতে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। সাঈদীকে সকল প্রমাণিত অভিযোগ থেকে খালাসের আরজি জানিয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে এ মাসের শেষ সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন সাঈদীর আইনজীবীরা।