ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত কিছু মিডিয়া এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক (বোয়ান)-এর আহ্বায়ক ও গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলন ধর্ষক ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে।” তিনি বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও কিছু রাজনৈতিক নেতা ও হেফাজতে ইসলাম আমাদের এ আন্দোলনকে বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত করার চেষ্টা করছে।” তিনি বলেন, “যাদের এই বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, তাদের আলোচনার আসার প্রস্তাব করলেও তারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। কিন্তু তারা জানেন, তারা ভুলপথে চলছেন। তাই, আমাদের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন।” শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে শাহবাগের আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বক্তব্যের জবাবে ডা. ইমরান বলেন, “খালেদা জিয়া শাহবাগের আন্দোলনকে ‘নষ্ট তরুণদের আন্দোলন’ বলেছেন। আমরা তাকে বলতে চাই, কয়েকমাস আগে দেখা গেছে, রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে। রামুর হামলার পর এই ‘নষ্ট ছেলেরাই’ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আপনি দেশে থাকার পরও রামুতে যাননি। এই নষ্ট ছেলেরাই আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন শুরু করেছে।” মুন্সীগঞ্জে ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন নাস্তিক-নষ্ট ছেলেদের আন্দোলন’ খালেদা জিয়ার দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, “আমরা তরুণ প্রজন্ম ভেবেছিলাম, বিরোধী দলীয় নেত্রী মুন্সীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে কোনো সর্ম্পক রাখবেন না এমন ঘোষণা দেবেন। তবে তিনি (খালেদা) তা করেন নি। আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া জামায়াত-শিবিরকে ত্যাগ করবেন।” ডা. ইমরান জানান, গণজাগরণ মঞ্চের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রতি শুক্রবার প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশ হবে। আগামী ২২ মার্চ শুক্রবার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশ সফল করার জন্য দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।