ঢাকা: মৃত্যুজনিত কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন আয়োজনের বিধান রয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানে। তাই বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর সংবিধান অনুযায়ী অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও সরকারের সিদ্ধান্তে গত ১৪ মার্চ থেকেই রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন স্পিকার। কিন্তু সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে।
সে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন স্পিকারই । তবে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে তিনিই হবেন দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ১২৩ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, “মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার পর নব্বই দিনের মধ্যে, তাহা পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানও সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কিংবা তিনি অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে, স্পিকার তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে সেটা রাষ্ট্রপতি পুনরায় দায়িত্বে ফেরার আগ পর্যন্ত।” সে সময় তিনি আরও বলেন, “অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে, বর্তমানে স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার এ নোটিফিকেশন জারি হয়েছে এবং এটা এখন থেকে কার্যকর হবে।” উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো.জিল্লুর রহমান দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ২০০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।