ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল জলিলের মরদেহ ঢাকায় এসেছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জলিলের মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিটে। মরদেহের সঙ্গে ছিলেন প্রয়াতের স্ত্রী রেহেনা জলিল। বিমানবন্দরে অবতরণের পর ৭টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগসহ দেশের শীর্ষ নেতা ও আব্দুল জলিলের পরিবারের সদস্যরা মরহুমের মরদেহ গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি ও মোহাম্মদ নাসিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, সুজিত রায় নন্দী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিদ রাজ্জাক এমপি, রহমত উল্লাহ এমপি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুল মান্নান ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল জলিলের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন তার দুই ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও জুমায়েত জলিল জুম্মা এবং দুই মেয়ে জুলি ও জেসি। এছাড়া বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। বিমানবন্দরে জলিলের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ। শুক্রবার সকাল ৯টায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, সকাল ১০টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাবেন। আব্দুল জলিলের মরদেহ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে নওগাঁয় নেওয়া হবে। বাদ আসর নওগাঁ শহরের এটিম মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখান থেকে আব্দুল জলিলের মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে শহরের চকপ্রাণ মহল্লায়। সেখানে আরও একবার জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। বুধবার বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।