গণজাগরণ চত্বর থেকে: শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি পরিকল্পিত নাশকতা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে এ নাশকতা।” শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ওই বিষ্ফোরণের ঘটনার পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপি কমিশনার।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চে এইদিন নারী জাগরণ সমাবেশ চলছিলো। সমাবেশে একের পর এক নারী নেত্রী তাদের সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন ৠাব কর্মকর্তা আহত হন। বেনজীর আহমেদ বলেন, “আইন -শৃঙ্খলা বাহিনী এ শহরের জনগণকে নিয়েই এসব নাশকতা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করবে।” তিন স্তরের নিরাপত্তার পরও কেন এ নাশকতা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত হওয়ার পরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করার ব্যবস্থা নিয়েছি।” কোথা থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে।” ডিএমপি কমিশনার বলেন, “একটি নির্দিষ্ট মহল গত কয়েকদিন থেকেই দেশকে অচল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরা মানুষ হত্যা, আক্রমণ এবং জনসম্পদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর মোকাবেলা করা হবে।” কয়েকদিন আগে হোটেল রুপসী বাংলার সামনে গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তুর কোনো কূল-কিনারা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।”গণজাগরণ চত্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক
এদিকে গণজাগরণ চত্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার পরপরই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান আয়োজকরা। বিষ্ফোরেণর মঞ্চে আরও শক্ত অবস্থান নেন উদ্যোক্তারা। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্লোগান দিতে থাকেন। সাধারণ অংশগ্রহণকারীরাও স্লোগানে অংশ নিয়ে তাদের সম্পৃক্ততার জানান দেন। ঘটনার পরপরই আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার দ্রুত মঞ্চে উঠে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এরপরপরই মঞ্চে এসে বিশিষ্ট নারী নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ট অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল মঞ্চে এসে বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরোধী তারা এ ধরনের হামলা করেই যাবে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুক্রবার ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হওয়ায় এই দিনে গণজাগরণ চত্বরে নারী জাগরণী সমাবেশ ডাকা হয়েছিলো। বিভিন্ন নারী সংগঠন, শিল্প, অফিস আদালতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক নারী অংশ নেন এই সমাবেশে।