রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৩

আক্রান্ত হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ

ঢাকা : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আক্রান্ত হিন্দু পরিবার ও তাদের মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রোববার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়িঘর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন বিচারক। 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১০দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদনও জমা দিতে হবে তাদের। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তাদের হামলার থেকে রেহাই পায়নি মন্দির-প্রতিমাও। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, খবর আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও।এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলামপুর ও আলাদীনগর গ্রামে জামাত-শিবিরের এই তাণ্ডবে নিঃস্ব হয়ে গেছে ৭৬টি হিন্দু পরিবার। ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে-মুখে এখনো রয়েছে আতঙ্কের ছাপ। “ওই এলাকার ১০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৩৬টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় ৫৩টি ঘরে।” জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঠাকুর বাড়ির মন্দির, রাজগঞ্জ বাজার মন্দির, পুলিন দত্ত বাড়ির মন্দির ও কালীরহাট মন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার আগে আদালত বিচার কক্ষে উপস্থিত ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ও অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খানের মতামত শোনেন।