রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৩

হংকংয়ে নারী শ্রমিক পাঠানোর নিবন্ধন শুরু ৭ এপ্রিল

ঢাকা: সরকারিভাবে দেশব্যাপী হংকংয়ে নারী শ্রমিক পাঠানোর নিবন্ধন ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। রোববার বিকেল ৩টায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশেই বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের চাহিদা বেড়েছে। হংকংসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই ইতোমধ্যে নারী শ্রমিকের জন্য আমাদের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে।”
মালয়েশিয়ার মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রেও। নারীরা যাতে এতে অংশ নিতে পারেন, সেজন্য সারা দেশের সব বিভাগে আলাদা আলাদা করে নিবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি বিভাগের নারীরাই ৫ দিন করে সময় পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিটি বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ নিবন্ধন চলবে। রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগে নিবন্ধন চলবে ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। একইভাবে খুলনা ও চট্টগ্রামে নিবন্ধন চলবে ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। ঢাকা ও বরিশালে চলবে ১৭ থেকে  ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি বলেন, “তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রমিক পাঠানো হবে। এর মধ্যে গৃহকর্মী হিসেবে হংকংয়ে যেতে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এসএসসি পাস। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ৮ম শ্রেণী পাস হতে হবে।” এছাড়াও নাসিং ও গার্মেন্টস ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকলে তারাও আবেদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘‘হংকংয়ের রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে আমরা ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। সেখানে প্রায় এক লাখ নারী শ্রমিক পাঠানো যাবে। তবে তারা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের শিক্ষিত হতে হবে। বেতন হিসেবে তাদের দেওয়া হবে ৫০৫ ডলার। একই সঙ্গে তারা কেয়ারটেকার হিসেবেও কাজ করবেন।” মন্ত্রী জানান, ‘‘সরকারিভাবে হংকং থেকে প্রশিক্ষকরা এসে গৃহকর্মের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শ্রমিকদের ২ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেবেন।’’ তবে এ ক্ষেত্রে হংকং যেতে তাদের যে টাকা খরচ হবে তা ঋণ হিসেবে বহন করবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। যা তারা চাকরি পাওয়ার ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শোধ করতে পারবেন। মন্ত্রী জানান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকেও নারী শ্রমিকের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এজন্য হংকংয়ের শ্রমিকদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে আগ্রহীদেরও নিবন্ধন একই সঙ্গে করে রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এ শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ২০০ ডলার দেওয়ার দাবি জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের ভিসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সোমবারে মধ্যেই ভিসা পাঠানো হবে। এর আগে আমরা তাদের কাছে যে তালিকা পাঠিয়েছিলাম। তাদের সিকিউরিটি পরীক্ষা করে সোমবারের মধ্যেই তিন-চারশ’ কর্মীর ভিসার জন্য নাম পাঠাবে। আশা করছি, ১ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবো। এ ক্ষেত্রে একদিন  দু’দিন এদিক সেদিক হতে পারে।’’ মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাসচিব বেগম শামসুন্নাহারসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।