ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। ট্রাফিক ভলিউম সার্পোট দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান ২-লেন বিশিষ্ট কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতুর পাশে ৪-লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় সেতুগুলো নির্মাণের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং জাপান আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকার) পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এর প্রধান প্রতিনিধি ড. তাকাও টোডা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ তে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সিরো সাদোসীমা প্রমূখ। সেতু ৩টি নির্মাণে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তা থাকবে ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৩ থেকে জুন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু তিনটির পুর্নবাসন বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। জাপান সরকারের ঋণ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত মোট চারটি প্রকল্পে জাপান সরকার ৮ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করে।কর্নফুলি ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প (ফেইজ-২)
চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি জাইকার সহায়তায় চলমান কর্নফুলি ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে।
নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট
দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে পল্লী ও নগর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবার প্রসার ঘটানো এবং স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধিই এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি ঢাকা ও রংপুর বিভাগের ১৪টি জেলার ১১৮টি উপজেলা ও ১৮টি পৌরসভায় বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার মধ্যে জাইকার সহায়তা ২ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল মার্চ ২০১৩ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত।
রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট
নবায়ন যোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।