বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৩

নির্বাচন কমিশনের ওয়েব ঠিকানা পরিবর্তন হচ্ছে

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নাম ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়’ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন করার পর এবার ওয়েব সাইটের ঠিকানা পরিবর্তন করা হচ্ছে। আর ওয়েবসাইট ঠিকানা পরিবর্তনে তোড়জোড় শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক। গত বছর ইসির সঙ্গে সুশীল সমাজের সংলাপে নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রবল সমালোচনা করা হলেও কারোর মতামতকে আমলে নেওয়া হয়নি। এর আগে কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন। কমিশন সচিবালয়ের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা জানান, সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন নাম পরিবর্তন ও বানান সংশোধন বিষয়েই ব্যস্ত আছেন এই কমিশনার।
জানা গেছে, ওয়েব সাইটের ঠিকানা পরিবর্তন নিয়ে গত ১১ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বরাবর একটি লিখিত নোট পাঠান আবদুল মোবারক। সিইসি ওই নোটটি ইসির আইটি বিভাগে কর্মরত সিস্টেম ম্যানেজারকে ফরোয়ার্ড করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা এর বিরোধিতা করে জানান, জনগণের অর্থ অপচয় করার কোনো অধিকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের নেই। অহেতুক এসব নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি থেকে সরে না এলে কমিশনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে বলে জানান তারা। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক তার নোটে লেখেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব অ্যাড্রেস নিম্নরূপ- www.ecs.gov.bd এতে সরকারের অধীন নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত করে। অথচ ২০০৯ সালের ৫ নম্বর আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে সরকারের অধীনস্থতা থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেভাবে সরকারের রুলস অব বিজনেস সংশোধন করে তা থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উপরোল্লিখিত ওয়েব অ্যাড্রেস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই নিম্নরূপ একটি ওয়েব অ্যাড্রেস রেজিস্ট্রেশনের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় অনুগহ করে বিবেচনা করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা যাচ্ছে- www.ec.bd.org। এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম  সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাজ জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা নয়।”