মুন্সীগঞ্জ: ‘নির্বাচিত হলে এই ভাঙা মন্দির নির্মাণ করে দেবো’ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ভাঙা মন্দির পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেন, “এই সরকারের আমরে সময় হলমার্ক, শেয়ার পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি নিয়ে সারাদেশে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছে, তখন এই দুর্নীতি ঢাকতে শাহবাগে আন্দোলন করছে তারা।” বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের গোয়ালীমান্দ্রায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
এসময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে তিনি গোয়ালীমান্দ্রায় পৌঁছান। ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ। এছাড়া যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান সিনহা, নিতাই রায় চৌধুরীসহ বিএনপির বিভিন্নস্তরে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কালীমন্দির পরিদর্শনের সময় খালেদা জিয়া কনক মালাসহ বেশ কয়েকজন নারী খালেদার কাছে প্রতিমা ভাঙার বিস্তারিত বর্ণনা শোনান। এসময় তিনি মন্দির মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মন্দির সংস্কারের পুরো খরচ তিনি বহন করবেন বলে জানান খালেদা জিয়া। এছাড়া বিনোদ দাশ (৭০) নামে এক বৃদ্ধ জানান, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ও ওই হামলা হয়নি, যা কয়েকদিন আগে হলো। এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালীমন্দিরে বেশ কয়েকটি পোস্টার সাঁটা রয়েছে। এসব পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘জামায়াত-বিএনপির হাত থেকে সংখ্যালঘুদের বাঁচান, সম্মিলিত সংখ্যালঘু পরিষদ।’ উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের গোয়ালীমান্দ্রা গ্রামের ঋষিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন কালীমন্দিরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সেখানকার ৩টি কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।