বগুড়া : দেশের প্রতিটি খুনের খতিয়ান বিএনপির কাছে রাখা আছে বলে মন্তব্য করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, “পালিয়ে যাবেন? কোথায় যাবেন? পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন খুঁজে এনে বিচার করা হবে।”রোববার জয়পুরহাটের পাঁচবিবির শালাইপুর স্কুলমাঠে নির্মিত শোক-সমাবেশমঞ্চে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এ মঞ্চ থেকেই হরতালের সহিংসতায় নিহতদের ৬ পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, “আর যদি জনগণের উপর অত্যাচার করা হয়, গুলি করা হয় তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।” পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জনগণের উপর আপনারা আর গুলি করবেন না।” জনগণকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনারা রক্ত দিয়েছেন আমরা জানি। ভয় পাবেন না। এ সরকার আর কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না।”তিনি বলেন, ‘‘এ সরকারের কাছে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়’’ বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, “তারা রামু, উখিয়া, মুন্সীগঞ্জে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। এ সরকার দাড়ি-টুপি দেখলে নির্যাতন করে। কুকুরের মাথায় টুপি পরিয়ে এ সরকারই দাড়ি-টুপিকে অপমান করেছিল।”
এখানকার সমাবেশ শেষ করে বগুড়া সার্কিট হাউসের পথে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। সেখানে দুপুরের বিরতি ও বিশ্রাম শেষে প্রথমে গাবতলী ও পরে শাহজাহানপুরে শোকসভায় বক্তৃতা করবেন খালেদা। উভয় স্থানেই হরতালে নিহতদের আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি। এরপর ঢাকার ফিরতি পথ ধরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। গত শনিবার রাতে তিনি ঢাকা থেকে এসে সার্কিট হাউসে ওঠেন। রোববার বেলা ১১টার পর শুরু করেন দিনব্যাপী কর্মসূচি।
খালেদার শোকসমাবেশে শিবিরের ব্যাপক শোডাউন
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায় খালেদা জিয়ার শোকসমাবেশ স্থলে ব্যাপক শোডাউন দিচ্ছে শিবির নেতা-কর্মীরা। রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার বি-ব্লক এলাকা থেকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক হয়ে একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন শিবির নেতা-কর্মীরা। তারা সমাবেশ স্থল আড়িয়া রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শোডাউন দিতে থাকে।