বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

বাবুনগরী জামিনে মুক্ত

নিউজডেস্ক : ২৩ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।  তিনটি মামলায় বুধবার দুপুরে ঢাকার আদালত তাকে জামিন দেয়। বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাটহাজারী মাদ্রাসার এই শিক্ষক বিকালে মুক্তি পান। কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার সংবাদ মাধ্যমকেকে বলেন, জামিনের কাগজপত্র আসার পর হাসপাতাল থেকে তার পাহারা তুলে নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ হেফাজতের মহাসচিব এখন মুক্ত। তবে তিনি এখনো হাসপাতালেই রয়েছেন। 
বুধবার দুপুরে বারডেমে গিয়ে জানা যায়, হেফাজত মহাসচিব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন। তবে তার চিকিৎসার বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি, সেখানে তখন কড়া পাহারা ছিলো। কারা কর্মর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, বাবুনগরীর ডায়াবেটিস রয়েছে। সেজন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে তারাও রাজি হননি।  বুধবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান হেফাজতে নেতার জামিনের আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অসুস্থতার কারণে বাবুনগরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়। পুলিশ হত্যা, গাড়ি ভাংচুরসহ তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন বাবুনগরী। এই তিনটি মামলাই মতিঝিল থানার বলে জানান ওই আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার। গত ৫ মে রাতে মতিঝিল থেকে হেফাজতকর্মীদের তুলে দেয়ার পরদিন গ্রেপ্তার হন বাবুনগরী। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।   জিজ্ঞাসাবাদে বাবুনগরী হেফাজতের মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন বলে পুলিশ ইতোপূর্বে জানিয়েছিলো। সরকার বলে আসছে, সেদিন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ছিলো এবং তাতে বিরোধী দলের ইন্ধন ছিলো। বাবুনগরী আদালতে দেয়া জবানবিন্দতেও ওই ষড়যন্ত্রের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে বাবুনগরীর জবানবন্দিতে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর নাকচ করেছেন হেফাজতের আমির শাহ আমদ শফী ও বিরোধী দলের নেতারা।