বুধবার, ২২ মে, ২০১৩

সংলাপে তৃতীয় পক্ষের দরকার নেই: মজীনা

নিউজডেস্ক : বাংলাদেশের পরিস্থিতি ২০০৬ বা ২০০৭ সালের মতো নেই। আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই, দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপে বসতে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো দেশের সহযোগিতার দরকার নেই। বুধবার সকাল ১১টায় আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। চলমান সহিংসতা, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তৃতীয় পক্ষ বা নতুন ফর্মূলার দরকার নেই। তবে সংলাপে বসার প্রক্রিয়াটি ধীরগতিতে চলছে। বিনিয়োগের জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।” গত সোমবার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দেওয়া চিঠির ব্যাপারে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব দেন মজীনা। মজীনা বলেন, “আমাদের দেশে ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। তিনি কেন এ ধরনের চিঠি লিখেছেন, তা আমি জানি না।”

সাংবাদিকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনার কাছে জানতে চান, ডা. দীপু মনি ও জন কেরির আলোচনার আগেই জিএসপি সুবিধা পেতে তড়িঘড়ি করে শ্রম আইনের সংশোধনী মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে অনুমোদন দেয়। সেই সুখবরটি কী পাওয়া যাবে? এবিষয়ে ড্যান মজীনা বলেন, “চূড়ান্ত খসড়াটি দেখেছি। আর জিএসপি সুবিধার বিষয়টি আলোচনাধীন।” এর পর সাংবাদিকরা জানতে চান, রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শারম্যান বাংলাদেশ সফরকালে কী কী বিষয় আলোচনা হতে পারে? এর জবাবে  জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “সে সময় দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচিত হবে। এর মধ্যে উন্নয়ন, সুশীল সমাজ ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসমতাসহ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।” এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রানা প্লাজার মতো বিষয়ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় স্থান পাবে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা সাংবাদিকদের জানান। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শারম্যান ২৬ মে বাংলাদেশে আসছেন। তিনি ২৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।