বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৩

দুর্বল হয়ে পড়েছে মহাসেন

নিউজডেস্ক : ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন স্থলভাগে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু, ফেনী, ভারতের কিছু অংশ (ত্রিপুরা) হয়ে মিয়ানমারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি কক্সবাজারে আঘাত হানবে না। এদিকে, বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলমও একই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “কক্সবাজার-বরগুনা-ভোলা-পটুয়াখালীতে আঘাত হানার সময় সমুদ্রে ভাটা থাকায় জলোচ্ছ্বাস প্রবল হয়নি। ঝড় অতিক্রম করার সময় জোয়ার থাকলে জলোচ্ছ্বাস প্রবল আকার ধারণ করতো এবং প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।” শুক্রবার সকালেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ধারণ করা সারা দেশে গড় বৃষ্টি পাতের রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে ১২১ মিলি।

বহাল থাকবে সতর্ক সংকেত

ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বিকেল নাগাদ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী, ভারতের কিছু অংশ (ত্রিপুরা) হয়ে মিয়ানমারের দিকে এগিয়ে গেলেও বহাল থাকবে সতর্ক সংকেত। শাহ আলম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মহাসেন খেপুপাড়া, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় আঘাত করার সময় ভাটা থাকায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাস হয়নি। বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় জোয়ারের সময় এসে যাবে। ফলে সাগর উত্তাল হতে পারে। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করলেও ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর এবং মংলায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল থাকবে।” অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা নাগাদ বিপদ সংকেত তুলে নেওয়া হলেও উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য কিছু সংকেত রেখে দেওয়া হবে। ঝড় চলে গেলেও আগামী তিন দিন ছোট নৌকা, ট্রলার এবং মাছ ধরার নৌকা সাগরে না নামাতে পরামর্শ দিয়েছেন মো. শাহ আলম। তবে আগামী শুক্রবার থেকে জাহাজ চলতে পারবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার বিপদমুক্ত
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এ ঘুর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা পার হওয়ার সময় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে এ ঘূণিঝড়েরর প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় বর্ধিতাংশের প্রভাবে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র যে প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও খানিকটা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সেটা পড়েনি।তাই এ এলাকায় বড় আকারের আঘাত হানার আশঙ্কা কেটে গেছে।’