বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

যুদ্ধাপরাধের রায় আগস্টের মধ্যে কার্যকর: তথ্যমন্ত্রী

নিউজডেস্ক : আপিলের রায় নিয়ে আগামী অগাস্টের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের দণ্ড কার্যকরের আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বুধবার বলেছেন, “জুনের মধ্যে উচ্চ আদালতের আপিল কার্যক্রম শেষ হলে জুলাই এবং অগাস্টের মধ্যে রায় কর্যকর করা হবে।” যুদ্ধাপরাধের মামলায় এই পর্যন্ত যতগুলো রায় হয়েছে, তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান এবং সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার। রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতারা আপিল করলেও এখনো তার নিষ্পত্তি হয়নি।
আইনে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির কথা থাকলেও কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে ওই সময় সীমা অতিক্রম হয়েছে। সাঈদীর ক্ষেত্রেও ওই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পথে। এই দুজনের রায়ই হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সর্বশেষ এই মাসের শুরুতে রায় হয়েছে কামারুজ্জামানের। এর পাশাপাশি যে কোনো দিন রায় হতে পারে গোলাম আযমের মামলার। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার কথাও উঠে এসেছে যুদ্ধাপরধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে। নেতাদের বিশেষ করে সাঈদীর বিরুদ্ধে দণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় গত মার্চ মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত।   জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “এই রায় কার্যকরের মাধ্যমে জামাতিদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হবে।

“জুলাই-অগাস্টে আমরা প্রমাণ করবো- হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের থাকবে, নতুবা রাজাকারদের থাকবে।” চার দশক পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে জামায়াত এবং তাদের জোটসঙ্গী বিএনপি নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে বলে সরকারের অভিযোগ। ইনু বলেন, “খালেদা জিয়া যত প্রকার ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, কোনোভাবেই এই রায় কার্যকর করতে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।” তথ্যমন্ত্রী জাসদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা নাজমুল হক প্রধান, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মীর আক্তার হোসেনও সভায় বক্তব্য রাখেন।