মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০১৩

ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের আর্থিক সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর

নিউজডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা এবং সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের অগ্নিসংযোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরের ক্ষতিগ্রস্ত ৩ শ’ ৩৩ জন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি তাঁর কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাদেরকে সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন দেখে এসব মুক্তিযোদ্ধাকে পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তাদানের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ২ লাখ করে টাকা দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে আরো দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে এ ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। আর্থিক সহায়তা গ্রহণকারীরা হচ্ছেন- রাজবাড়ীর হালিমা বেগম, নিলফামারীর আফিজউদ্দীন, পঞ্চগড়ের এম শামসুল হক, কুষ্টিয়ার হায়দার আলি, সুনামগঞ্জের সমির উদ্দিন ও কুমিল্লার মনু মিয়া। প্রেস সচিব বলেন, ৩ শ’ ৩৩ জন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে পুনরায় তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, হকারদের যে পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হলো তা তাদের ক্ষতির তুলনায় খুবই অল্প। ‘এটা তাদেরকে পুনরায় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রতীকী সহায়তা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে সাভারের ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্তদেরও সহায়তা করতে হচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশব্যাপী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উস্কানিতে হেফাজতে ইসলাম ৫ মে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও এত বেশি পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নজির নেই।‘এ ধরনের নৈরাজ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বন্ধ এবং গরীব মানুষের কপাল না পোড়ানোর জন্য বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী ও হকার্স সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।