কক্সবাজার : মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ দুর্বল হয়ে পড়বে। পর্যটন শহর কক্সবাজারে এ মুহূর্তে পর্যটক নেই বললেই চলে। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ বেড়াতে এলেও বৃষ্টিতে তারা আটকা পড়েছেন বিভিন্ন হোটেলে। সাগরও এ মুহূর্তে প্রচণ্ড উত্তাল আছে। যার ফলে সৈকতেও লোকজনের তেমন আনাগোনা নেই বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টিপাত মাঝারি আকার ধারণ করে। কক্সবাজার জেলা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত টানা চললে ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারাবে। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় এখনও কক্সবাজার উপকূল থেকে এক হাজার ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি যখন আরও ঘনীভূত হবে তখন প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।’আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে গত দু’তিনদিন ধরে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছিল। তবে বৃষ্টিপাত শুরুর পর তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এছাড়া উত্তাল অবস্থায় সাগর উপকুলে তিন থেকে চার ফুট উঁচ্চতায় ঢেউ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঢেউয়ের এ উচ্চতাকে স্বাভাবিক মনে করছেন সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় যখন উপকূলের কাছাকাছি আসবে তখন বাতাসের গতিবেগ বাড়বে। তখন সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ ফুট উঁচুতে ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। ঢেউয়ের সেই উচ্চতা হবে অস্বাভাবিক যা জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করবে।” এদিকে, বৃষ্টিপাত শুরুর পর কক্সবাজার শহরে অফিসগামী ও স্কুল-কলেজগামী লোকজনকে গন্তব্যে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। শহরে অধিকাংশ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।