সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

মাহমুদুরের মুক্তির বিবৃতিতে বিস্ময় ও ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক : আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে ১৫ জন সম্পাদকের বিবৃতি দেওয়ায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের চারটি সংগঠনের নেতারা। রোববার একটি যৌথ বিবৃতিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে. এম. শফিউল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম খান এ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমানকে ‘গণশত্রু’ আখ্যায়িত করে তারা বলেন, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে ১৫ সম্পাদকের বিবৃতিতে তারা বিস্মিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এতে তারা আমার দেশ-এর ছাপাখানা খুলে দেওয়া, দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচার চালুরও দাবি জানান। চার সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন সংক্রান্ত মিথ্যাচার এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাওয়া ইত্যাদি সংবাদ এবং ছবি প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বাংলাদেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী ফাঁসির দাবিতে চলা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে ‘ফ্যাসিবাদী’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিদাতা চার সংগঠনের নেতারা বলেন, “সাংবাদিকতা ও সম্পাদনার সকল রীতি-নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শ উপেক্ষা করে যে ব্যক্তি রাষ্ট্র ও জনজীবনকে বিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সংবাদপত্রকে অপব্যবহার করে সেই ব্যক্তির মুক্তি দাবি করা আমাদের মোটেও যৌক্তিক মনে হয় না। বিবৃতিতে ১৫ সম্পাদকের মধ্যে প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন সম্পাদকের সাথে কতিপয় প্রগতিবিরোধী ও ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী সংবাদপত্রের সম্পাদকের নাম দেখে আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমরা আশা করব, আমাদের দেশপ্রেমিক সম্মানিত সম্পাদকগণ এ ব্যাপারে তাঁদের সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কথিত স্কাইপ সংলাপ প্রকাশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গত ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই পুলিশ পত্রিকাটির ছাপাখানায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তাকে কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তনের অভিযোগ দায়ের করা মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।