সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

হামীম গ্রুপে শ্রমিক বিক্ষোভ: পুলিশসহ শতাধিক আহত

সাভার (ঢাকা): আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের নরসিংহপুর এলাকার হামীম গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। আর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে হামীম গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর কাজে যোগ না দিয়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, শ্রমিক নির্যাতন ও নারী শ্রমিকদের শ্লীলতা হানির অপচেষ্টা বন্ধ, সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ থাকা তিন দিনের হাজিরা পরিশোধের দাবিতে ও  বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এ সময় শ্রমিকরা কারখানার ডিরেক্টর আলতাব ও জিএম মাজহারুলের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিকদের শ্লীলতহানির অভিযোগে বিক্ষোভ ও মিছিল করতে থাকে। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা আরও অভিযোগ করেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ কথায় কথায় শ্রমিকদের উপর নির্যাতন করে ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে তাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা হামীম গ্রুপের কারখানার মূল ফটকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ বাঁধলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ ঘটনায় পুলিশসহ শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে। এদিকে নিরপত্তার কারণে আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বদরুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হামীম গ্রুপের বেশ কিছু শ্রমিক তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে আমরা তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বেশ কিছু টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সকাল ১০টা থেকে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হামীম গ্রুপসহ শিল্প এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ, এপিবিএন মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশের জলকামান, সাঁজোয়া যান, রায়ট কার ও ৠাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।