বুধবার, ৮ মে, ২০১৩

টেকনিক্যালের সোয়েটার কারখানার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২

ঢাকা : রাজধানীর গাবতলীর টেকনিক্যালে তুংহাই সোয়েটার তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দুই জন নিহত হয়েছে। বুধবার রাত ১১ টায় লাগা ওই আগুনে কারখানার মালিকসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত এক টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল বাহিনী উদ্ধারকর্মীরা। ১২ তলার এ কারখানার এক তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়। আগুন তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছড়ায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল বাহিনী। মোট ১৩টি ইউনিট দুই ঘণ্টা যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারখানাটি ছুটি দেওয়া হয়। ছুটির পর কারখানার মালিক মাহবুবুর রহমান ও কয়েকজন কর্মকর্তা কারখানায় অবস্থান করছিলেন। মালিক ১০ তলার কার্যালয়ে কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। ছুটি হলেও কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিল। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা বের হতে পারলেও মালিক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বের হতে পারেন নি। কালো ধোঁয়ায় তাদের অনেকে অজ্ঞান ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, হতাহতদের কারখানার ছয়, সাত বা ১০ তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তারা ওইসব তলার সিঁড়িতে পড়ে ছিলেন। তাদের অনেকের মুখ কালচে হয়ে গেছে, চোখ ফেটে গেছে। প্রথমে ১২ টা ৪৯ মিনিটে মালিক মাহবুবুর রহমান ও অন্য একজনকে উদ্ধার করা হয়। এর পর দফা দফায় উদ্ধার করা হয় অন্যান্যদের। সর্বশেষ যে দুজনকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । সাধারণ উদ্ধারকর্মী সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র জয়নাল আবেদীন বলেন, “সময়মতো তাদের কাছে যেতে পারলে, তাদেরকে অক্সিজেন দিতে পারলে যে দুজন মারা গেছে তাদের বাঁচানো যেত।” কারখানার নিরাপত্তা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আগুন লাগার সময় ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার পরে গোডাউনে ওয়্যারলিঙ্কের কাজ চলছিল। এখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আগুন লাগার কারণে তারা বের হতে না পেরে উপরের তলার দিকে চলে যায়। কারখানার এক সুপারভাইজার জানান, আগুন লাগার সময় বেশ কজন নারী শ্রমিক একতলা ও দোতলায় কাজ করছিল। আগুন লাগা মাত্রই তার‍া নিরাপদে বের হয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি মালিকসহ ৫ থেকে ৬ জন আটকা পড়েছেন। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “কারখানা বন্ধ ছিল। আগুন লাগার বিষয়টি আপাতত রহস্যজনক মনে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখব আমরা।”