বুধবার, ৮ মে, ২০১৩

অপারেশন ছিল মিডিয়ার সামনে নিহতের তথ্য অসত্য: ডিএমপি

ঢাকা : মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তান্ডবের অপারেশনে ফ্ল্যাশ আউটে মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ। আমরা সমাবেশস্থল থেকে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া আমাদের এক সহকর্মীকে খুন করেছে হেফাজতের কর্মীরা। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ আমরা খোলা রাখি যাতে হেফাজতের কর্মীরা বেরিয়ে যেতে পারে। আমরা এই ওয়াটার ক্যানাল, সাউন্ট গ্রেনেড, স্মোক গ্রেনেড, লেথাল অস্ত্র এবং ওয়ার্ল্ড ক্লাস লজিটিক্স ব্যবহার করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল জিরো ক্যাজুয়াল্টি। আমরা এতে মোটামুটি সফল হয়েছি। অভিযানে ম্যাক্সিমাম অফিসার ব্যবহার করেছি, এটা ছিলো অফিসার বেজড অভিযান। আমরা সফলভাবে অভিযান শেষ করি। ৫মে রাত ২টায় অপারেশন শুরু করি, মাত্র ১০ মিনিটে শেষ করি।
তিনি আরও জানান, সমাবেশে অর্থনৈতিক দৈন্য, সামাজিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে সমাবেশে শিশু-কিশোরদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আসা হয় শাপলা চত্বরের সমাবেশে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাতটি মৃতদেহ আমরা পাই। এর মধ্যে চারটি মঞ্চের নিচে কাফনে মোড়ানো ছিল। হেফাজতিরা আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে খুন করে, অস্ত্র কেড়ে নিয়ে যায়।
হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা সত্য নয়। দুটো টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করেছে। আপনারা জানেন, অভিযানে ছিলেন। চলছে অপপ্রচারের চেষ্টা। অন দ্য গ্রাউন্ড ক্যামেরাম্যান, সাংবাদিক সবাই ছিলেন।
কমিশনার বলেন, এখন আমরা অগ্রসর সময়ে বসবাস করি। এই যুগে অসম্ভব বিষয়, এটা স্পষ্ট। মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে। কম্পিউটারে ফটোশপ করে আমাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে। এই তালিকা আপনারা কোথায় পেলেন? যদি দুই-তিন হাজার লোক মারা যায়, তাহলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা কোথায়?
এই সংকটকালে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আপনারা এর মূল্যায়ন করুন।