শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩

হেফাজত কাণ্ডে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের ৫ মে’র সমাবেশে সরকারকে উৎখাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র ষড়যন্ত্র করেছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৪ঠা মে হুমকি দেয়া হলো- পালানোর পথ পাব না। ৫ই মে হেফাজতকে বসিয়ে দেয়া হলো। মাদ্রাসার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের ব্যবহার করে তাদের ঘাড়ে পা দিয়ে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হলো। অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো। অনেকেই খেলেছে।” তবে জনগণের সমর্থন থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠক শুরুর আগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায় আওয়ামী লীগসহ দিলের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ সময় তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাকে বারবার স্ট্রাগল করতে হয়েছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। আমার বাবার খুনি হুদা আর রশীদকে নিয়ে ইত্তেফাকের মঈনুল হোসেন পার্টি করে। ফারুককে এরশাদ হেলিকপ্টার দেয়। কর্নেল রশীদ আর হুদাকে বেগম জিয়া সংসদে বসায়। আমার রাজনীতি শেষ করতে এই খুনিদের বারবার ব্যবহার করেছে। আমার বাবা-মার খুনি দেখে যেন আমি ভয় পেয়ে যাই।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য হত্যা করার পর ১৯৮১ সালের এই দিন ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় দু'বোন সেদিন প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনার অবর্তমানে তার অনুপস্থিতিতেই ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ভারত থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।