২রা ফেব্রুয়ারী : নিউজডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে আর মানুষ খুন করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। শনিবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ও মানুষ কিছু পায়, আর বিএনপি নেয়। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত জোট সরকারের আমলে পাবনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। চাটমোহরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার।
আমরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমন করেছি। এই দেশে আর কোনো দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রশয় দেওয়া হবে না।” শেখ হাসিনা বলেন, “দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৩০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করেছি আমরা। দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা হয়েছে। দেশের দারিদ্রের হার ১০ শতাংশ কমে এসেছে।” পাবনায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চাই। বাংলাদেশ হবে উন্নয়ন সমৃদ্ধ ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। কারণ আ’লীগ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে, জনগণের সেবা করে।” পাবনা-৪ আসনে সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মির্জা আব্দুল জলিল, কাজীপুরের সংসদ সদস্য নাজমুল শাকিল জয়, পাবনা সদরের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, পাবনা-৩ আসনের সাংসদ মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এর আগে প্রধামন্ত্রী জনসভাস্থল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১২টি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে হেলিকপ্টারে পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী।