মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মাঘের শেষ সন্ধ্যায় ফাগুনের উত্তাপ

গণজাগরণ চত্বর থেকে: তরুণ প্রজন্মের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে নীরবতা পালনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহবাগে ঢল নেমেছে মানুষের। এর আগে বিকাল চারটা থেকে তিন মিনিট সারাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচি পালনের জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন সাধারণ মানুষ। কর্মব্যস্ত মানুষও অফিস শেষে ছুটে আসেন শাহবাগে।
তিন মিনিট নীরবতা পালন শেষে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিচারের দাবিতে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ। দুপুরে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতাও দমাতে পারেনি শাহবাগমুখী নস্রোত। সন্ধ্যার পর শাহবাগের মূল মঞ্চের সীমানা ছাড়িয়ে পশ্চিমে কাঁটাবন, পূর্বে শিশুপার্ক ও মৎস্য ভবন, উত্তরে রুপসী বাংলা হোটেল, দক্ষিণে টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই হাতে জাতীয় পতাকা, মোমবাতি, যুদ্ধাপরাধীদের ব্যঙ্গাত্মক চিত্রকর্ম, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ছুটে আসতে থাকে মানুষ।  তরুণ-তরুণীদের মুখে আল্পনা দেখা যায়, ‘ফাঁসি চাই’। সন্ধ্যার পরপরই মানুষ দলে দলে খণ্ড খণ্ডভাবে বসে পড়েন শাহবাগের বিভিন্ন রাস্তার উপর। আর এসব দল থেকে ফাঁসির দাবির স্লোগান উঠতে থাকে।  মূলমঞ্চে লাকির ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ স্লোগানে কণ্ঠ মেলান হাজার হাজার শিশু-তরুণ-যুবক-বৃদ্ধ।  সব মিলিয়ে শুক্রবার গণজাগরণ চত্বরে মহাসমাবেশ এবং মঙ্গলবার দেশব্যাপী তিন মিনিটের নীরবতা কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনস্থল আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মাঘের শেষ সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাই ফাগুনের উত্তাপে শোনা যাচ্ছে ‘ফাঁসি, ফাঁসি’ স্লোগান।