রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

তদন্তে ছাড় হবে না: দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকা: নিউজডেস্ক : পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরামর্শক যাচাইতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কোনো ধরনের ‘শৈথিল্য’ বা ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানালেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। রোববার এক অনানুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন৤ তিনি বলেন, ‘‘যারা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা দুদকের আইনি দায়িত্ব।’’ পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ না নিলে দুদক-এর মামলা চলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, ‘‘এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।”
তিনি বলেন, “অনুসন্ধান শেষে ইতোমধ্যে একটি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) হয়েছে। বিষয়টি বিশ্বব্যাংক ইতিবাচকভাবে (পজেটিভলি) নিয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। এমন অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সরকার অর্থ না নিলেও দুদক তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়ে এটাকে বিচারের জন্য আদালতে নিয়ে যাবে।’’ দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অর্থায়নের সঙ্গে সম্পর্ক সরকার ও বিশ্বব্যাংকের। দুদক- এর সম্পর্ক নেই।’’তিনি জানান, সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা সইয়ের কারণে দুদক-এর অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পায় বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এখন পর্যন্ত ওই স্মারক সই বাতিল হয়েছে বলে তারা জানেন না। যদি ওই স্মারক বলবৎ থাকে, তা হলে বিশ্বব্যাংক পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এবং দুদককে সহযোগিতা করবে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আসামি না করায় পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অসন্তুষ্ট হওয়ায় অর্থ দিতে বিশ্বব্যাংক বিলম্ব করেছে এর দায় দুদক এড়াতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাংক চাওয়ার পর দুদক কাউকে আসামি না করার মধ্য দিয়ে দুদক প্রমাণ করেছে এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। কারো কাছে মাথা নত করে না।’’ তিনি বলেন, “দুদক কারও কথা অনুযায়ী চলে না। কেউ চাইলে দুদক কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে শুলে চড়ায় না। অনুসন্ধান ও তদন্তে দুদক কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে নথিপত্র পায়, তা হলে তাকে বিচারের আওতায় আনে।” এদিকে, রোববার পদ্মাসেতু প্রকল্পের ষড়যন্ত্রে তদন্ত কমিটি দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা হলেন- পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং সর্বশেষ মূল্যায়ন কমিটির সদস্য তরুণ তপন দেওয়ান।