গণজাগরণ চত্বর থেকে: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। উৎসবমূখর পরিবেশে গণজাগরণ চত্বরের গণআন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায় ঘোষণার খবর শোনার পরপরই মিষ্টি বিতরণ করা হয় গণজাগরণ চত্বরে। অনেকে মিষ্টি নিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে স্লোগান আসছে, ‘এই মাত্র খবর এলো, সাঈদী চোরার ফাঁসি হলো’, ‘একটা রাজাকার কমে গেলো, সাঈদী চোরার ফাঁসি হলো’।নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন শাহবাগে। শ্রেণী, পেশা এবং বয়সের ভেদাভেদ ভুলে জড়ো হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের গণআন্দোলনে। উপস্থিত জনতার আনন্দ-উচ্ছাসে শাহবাগ এখন উৎসবমুখর। সকালে হরতালবিরোধী মিছিল এবং রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল বের করা হয় গণজাগরণ চত্বর থেকে এদিকে গণজাগরণ চত্বরের কাছে হোটেল রুপসী বাংলা হোটেলের সামনে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। পুরো এলাকাটি ক্রাইম সিন টেপ দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেনেড উদ্ধারের খবরে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গণজাগরণ চত্বরে।বিকালে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ। গ্রেনেডটি কে বা কারা ফেলে গেছে তা বের করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, “বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।”জামায়াতের অপর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাজ্জীবন দণ্ড দেওয়ার পর তারসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগে এ গণআন্দোলন শুরু হয়। সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের পর আগামী রোববার কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা রয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের গণআন্দোলনের ২৪তম দিনে ফাঁসির রায় দেওয়া হয় সাঈদীর। সাঈদীর রায়ের পরপরই চলমান সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, আতঙ্ক ছড়িয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।