সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, বিরুদ্ধে রায় হলে বুধবার থেকে লাগাতার

ঢাকা: ৪ঠা ফেব্রুয়ারী : নিউজডেস্ক :  মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। সোমবার বিকেলে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম  খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায় দিলে মঙ্গলবারের হরতাল লাগাতার হরতালে গড়াবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় যদি সরকারের নীল নকশার শাস্তি বিধানের কোন প্রতিফলন ঘটে, তাহলে আগামীকালের হরতাল বর্ধিত হয়ে পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে লাগাতারভাবে হরতাল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। হরতালে সংবাদপত্রের গাড়ি, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ঔষধ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত গাড়ি আওতামুক্ত থাকবে। রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “বিচারের নামে অবিচারের বিরুদ্ধে আহুত এই হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য জামায়াত ও শিবিরের সব জনশক্তিকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য আহ্বান জানান।” বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই বিচারকার্য পরিচালনা করছে। রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, “স্পষ্ট বলে দিতে চাই সরকারি পরিকল্পনায় বিচারের নামে এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চক্রান্ত দেশবাসী প্রতিহত করবে।”

রাজধানীজুড়ে সংঘর্ষ, গুলি, ককটেল, আতঙ্কের পরিবেশ

এদিকে মঙ্গলবার দেশজুড়ে জামায়াত শিবিরের ডাকা হরতালের আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে দলটির কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়েছে একাধিক স্থানে। গুলি বিনিময় হয়েছে। ঘটেছে ককটেল বিষ্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ৫ শিবির কর্মী।  রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সন্ধ্যা ৬টায় পরে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি শুরু হয়। অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় দুই পক্ষে। কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের আন্ডারপাস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় শিবির কর্মীরা ২৫-৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসব ঘটনায় অন্তত ৫ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছে শিবির। এদিকে বাড্ডায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাতে পুলিশ বাধা দেয়। প্রতিবাদে শিবির কর্মীরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাংচুর করে। সেখানে কয়েকটি ককটেলেরও বিষ্ফোরণ ঘটায় শিবির কর্মীরা। যাত্রবাড়ি এলাকায় ইলিশ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে শিবির কর্মীরা। তবে স্থানীয় জনতা তিন শিবির কর্মীকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা ৬-৭টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।