ঢাকা: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পরপরই বর্তমান সরকারের পুলিশ-র্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বহু সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা করে সারাদেশে নারকীয় তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার পুলিশ, র্যাব ও নিজেদের পোষা যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে।
এটা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই পৈশাচিক ঘটনায় অতীতের নির্মম ফ্যাসিস্ট শাসকেরাও লজ্জায় মুখ ঢাকবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক মতপার্থক্য স্বীকৃত। ভিন্নমত সহ্য করা গণতান্ত্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী সরকারের ঐতিহ্যই হচ্ছে বিরোধী দলশূন্য রাজনৈতিক পদ্ধতি গড়ে তোলা। এদের হাতে বহুমত ও পথের গণতন্ত্রের সবসময় মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী সরকারের নির্দেশে পুলিশ-র্যাব ও সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, রংপুর, বগুড়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এটা ৭১ সালের হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষ আজ চরম অস্থিরতায় দিনযাপন করছে।মির্জা আলমগীর সরকারকে হত্যা ও রক্তারক্তির পথ পরিহার করার আহবান জানিয়ে তাদের সব ফ্যাসিবাদী সরকারের মর্মান্তিক পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।অবিলম্বে সারাদেশে সরকারি বাহিনীর নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার বিভাগীয় তদন্তের জোর দাবি জানান তিনি। এছাড়া সারাদেশে পুলিশ-র্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন শোকাহত পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ফখরুল।