বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

আলোর মিছিলে প্রতিবাদে শাহাবাগ সহ সাড়া দেশ

শাহবাগ থেকে : এদেশ ও মানুষের হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাসের নবদিগন্ত ঐতিহাসিক শাহবাগ গণজাগরণ।  স্বাধীনতা বিরোধী  রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের ফাঁসির জন্য বাংলার কোটি মানুষের সুদীর্ঘ আকাঙ্খার প্রতিচ্ছবি শাহবাগ৤ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিগত বিয়াল্লিশ বছরে স্বাধীনতা বিরোধী ঘৃণিত এ মানুষগুলো শেকড় অনেক দুর পর্যন্ত গেড়েছে৤ সেই শেকড়ের আমূল উৎপাটনের লক্ষ্য যেন শাহাবাগ৤  শাহাবাগের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাটি ছিল অন্যরকম।  লক্ষ লক্ষ প্রাণ মোমের আলোতে যেন খুজে ফিরল নতুন পথের ‍দিশা৤   ঘরে-বাইরে, রাজপথে, মাঠে, প্রান্তরে, গণজাগরণ মঞ্চে সব মানুষের হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি। 
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা ওরফে কসাই কাদের সহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে মোমবাতি জ্বেলে শাহবাগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে সারা দেশ। ঘড়ির কাঁটায় ৭টা বাজার খানিক আগেই গণজাগরণ মঞ্চে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।  গণনা শুরু হয়, ১০ থেকে শুরু করে ১ পর্যন্ত বলার সঙ্গে সঙ্গেই  জ্বলে উঠে লক্ষ মোমবাতি। বিশিষ্ট সংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শিমুল ইউসুফের কন্ঠে শুরু হয় মুক্তির গান৤  গণজাগরণ মঞ্চের পাশে অবস্থান নিয়ে মোমবাতি জ্বেলে গলা মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন সবাই।  কেবলমাত্র শাহাবাগ গণজাগরণ মঞ্চ নয়, পুরো ঢাকাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অগ্নিশিখায় জ্বলে উঠেছিল। মোমের আলোয় জনতা জানাল তাদের প্রাণের দাবি-যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি।  সেই সাথে সাথে ১৪ই ফেব্রুয়ারীকে ”আলোকিত দিবস” ঘোষনা করা হল৤