ঢাকা : ৩১শে জানুয়ারী : নিউজডেস্ক : যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, আটক শীর্ষনেতাদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা এই হরতালের ডাক দেয় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতাল হয়েছে বেলা ২টা পর্যন্ত। হরতালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীর প্রতিটি সড়কে অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য। এর মধ্যেও যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, শ্যাওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার চেষ্টা চালায় হরতালকারীরা।
পল্টন ও বাংলামটর এলাকায় ফাটানো হয় কয়েকটি হাতবোমা। মিরপুর-১১ নম্বর এলাকায় একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং যাত্রাবাড়ীতে পুড়িয়ে দেয়া হয় একটি টেম্পো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্টন মোড়ের প্রীতম হোটেলের সামনে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। মীর হাজারিবাগ এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল থেকে কয়েকটি বাস ভাংচুর করা হয়। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। সকালে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হরতালের কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম হলেও রিকশা ও অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের রাস্তায় সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ভাংচুরের খবর এসেছে ঢাকার বাইরে থেকেও। যশোরের মনিরামপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে আহত হয়ে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে সকালে। হরতালের শুরুতেই সিলেটে ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট, লামাবাজার, মিরাবাজার ও চণ্ডিপুল এলাকায় হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে তারা। ফাটানো হয় অন্তত ২৫টি হাতবোমা। কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। রাজশাহীতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে হরতাল সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামান বলেন, সংঘাত এড়াতে জামায়াত-শিবির কর্মীদের হরতালের সমর্থনে মিছিল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সকাল ৯টার পর হরতালের সমর্থনে আর কেউ মাঠে না থাকার শর্তে এই মিছিলের অনুমতি দেয়া হয় বলে জানান তিনি। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ করে শিবির কর্মীরা। তাদের এ কর্মসূচি পালিত হয় পুলিশ পাহারায়। বুধবার বিকালে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি ‘না পেয়ে’ দুপুরে হরতালের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী। আর সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ জোট শরিকদের কর্মসূচিতে নিজেদের সমর্থনের কথা জানান। তাদের এই হরতালে বিএনপি ছাড়াও ১৮ দলীয় জোটের শরিক জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, লেবার পার্টি, ন্যাপ সমর্থন জানিয়েছে।
হরতালের বিষয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, “অবিলম্বে বিতর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিরোধী দলের আটক সব নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।” পরে অবশ্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতাল আধাবেলা করার কথা জানান রফিকুল ইসলাম।
পল্টন ও বাংলামটর এলাকায় ফাটানো হয় কয়েকটি হাতবোমা। মিরপুর-১১ নম্বর এলাকায় একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং যাত্রাবাড়ীতে পুড়িয়ে দেয়া হয় একটি টেম্পো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্টন মোড়ের প্রীতম হোটেলের সামনে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। মীর হাজারিবাগ এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল থেকে কয়েকটি বাস ভাংচুর করা হয়। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। সকালে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হরতালের কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম হলেও রিকশা ও অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের রাস্তায় সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ভাংচুরের খবর এসেছে ঢাকার বাইরে থেকেও। যশোরের মনিরামপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে আহত হয়ে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে সকালে। হরতালের শুরুতেই সিলেটে ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট, লামাবাজার, মিরাবাজার ও চণ্ডিপুল এলাকায় হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে তারা। ফাটানো হয় অন্তত ২৫টি হাতবোমা। কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। রাজশাহীতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে হরতাল সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামান বলেন, সংঘাত এড়াতে জামায়াত-শিবির কর্মীদের হরতালের সমর্থনে মিছিল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সকাল ৯টার পর হরতালের সমর্থনে আর কেউ মাঠে না থাকার শর্তে এই মিছিলের অনুমতি দেয়া হয় বলে জানান তিনি। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ করে শিবির কর্মীরা। তাদের এ কর্মসূচি পালিত হয় পুলিশ পাহারায়। বুধবার বিকালে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি ‘না পেয়ে’ দুপুরে হরতালের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী। আর সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ জোট শরিকদের কর্মসূচিতে নিজেদের সমর্থনের কথা জানান। তাদের এই হরতালে বিএনপি ছাড়াও ১৮ দলীয় জোটের শরিক জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, লেবার পার্টি, ন্যাপ সমর্থন জানিয়েছে।
হরতালের বিষয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, “অবিলম্বে বিতর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিরোধী দলের আটক সব নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।” পরে অবশ্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতাল আধাবেলা করার কথা জানান রফিকুল ইসলাম।