চট্টগ্রাম, ২৩ জানুয়ারি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন নিশ্চিত না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে সরকার। তিনি বলেন, রাশিয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। এ ছাড়াও দেশটি আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সামপ্রতিক রাশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা দেশবাসীকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে আমরা শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির আহ্বান জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া রাশিয়া থেকে ১০০ কোটি ডলারের সমর সরঞ্জাম কেনার বিষয়েও একটি চুক্তি হয় প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরে। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, চুক্তির আওতায় আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই রূপপুর প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ফলে এই কাজ অনেক সহজ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বহির্বিশ্বে আমাদের অর্জন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সেনা প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র জয় করেছি। ভারতের সঙ্গেও এই নিয়ে মামলা চলছে। ভবিষ্যতে এখানেও রায় আমাদের পক্ষে আসতে পারে। তিনি বলেন, পুতিনসহ রাশিয়ার সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে। এ শ্রদ্ধাবোধ আমাকে গর্বিত করেছে। দেশটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তাই তাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক এবং তা অক্ষুন্ন থাকবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ দিনের সফরে ১৪ জানুয়ারি রাশিয়া যান। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই নেতার উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে ৩টি চুক্তি ও ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সফরকালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ৩টি চুক্তি ও ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এরমধ্যে পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি রয়েছে।