ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০১৩ : মানবজাতির ওপর শান্তি বর্ষণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সর্বোপরি আল্লাহর দয়া কামনায় ‘আমিন ছুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো ৪৮তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মোনাজাতের সময় মুসল্লিরা জীবনের সকল গুনাহ মাফ চেয়ে চোখের পানি ফেলে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকেন। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত মোনাজাত হয়। ২০ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাত আরবি ও উর্দু ভাষায় পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা জুবায়েরুল হাসান।
আয়োজকদের ধারণা, আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪২ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। ইজতেমা ময়দানের আশপাশের প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জায়গায় মাইকের শব্দ যত দূর গিয়ে পৌঁছেছে সেখানেই রব উঠেছে ‘আমিন, ছুম্মা আমিন’। বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশের প্রায় ২৫ হাজার বিদেশি মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। আখেরি মোনাজাত শুরুর আগে বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশের বিশেষ মঞ্চ থেকে হেদায়তি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সা’দ। হেদায়েতি বয়ানের পর বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি প্রয়াত হযরত মাওলানা এনামুল হাসানের পুত্র মাওলানা মো. জোবায়রুল হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। আরবি ও উর্দু ভাষায় ২০ মিনিট স্থায়ী এ আখেরি মোনাজাতে মাওলানা জুবায়েরুল হাসান বলেন, “ইসলামের দাওয়াত দিতে যারা আল্লাহর রাস্তায় নেমেছে তাদের তুমি কবুল কর। সকল বাধা-বিপত্তি, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা কর। বিশ্বের সব মুসলমানকে আল্লাহ তুমি কবুল কর। হযরত মোহাম্মদ (সা.)এর সুপারিশ নসিব কর। সারা দুনিয়ায় ইসলামকে মজবুত কর। মানবজাতির ওপর আল্লাহ তোমার রহমত বর্ষণ কর। মুসলমানদের হেফাজত কর। সকলকে দ্বীনদার বানিয়ে দাও। সারা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য, সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধ নসিব কর। আল্লাহ তোমার দ্বীনের মেহনতের জন্য সবাইকে কবুল ফরমাও। দ্বীনের কাজে মেহনতকারীদের বেহেশত নসিব কর। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে তুমি কবুল ফরমাও। আখেরি মোনাজাতে সব হাত উঠানোদের দোয়া কবুল কর। আমাদের সকলের জানা-অজানা গুনাহগুলোকে ক্ষমা করে দিন। বিশ্ব ইজতেমা যারা আয়োজন করেছে ও পরিশ্রম করেছে তাদেরও কবুল কর। আল্লাহ প্রতিবার বিশ্ব ইজতেমা করার তৌফিক দান কর। আমাদের মধ্যে যারা অসুস্থ, তাদের সুস্থতা দান কর। ‘ইয়া আল্লাহ আপনি করমসে হামারি দোয়াওকো কবুল ফরমাও’ বলে আখেরি মোনাজাত শেষ করেন।