শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৩

রোববার থেকে পেট্রোল পাম্পে লাগাতার ধর্মঘট

ঢাকা, ১৯ জানুয়ারী : জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধি না করলে আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে লাগাতর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার বিকেল সোয়া তিনটায় রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত কার্যালয়ে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক মো. নাজমুল হক এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি একই দাবিতে সরকারের ৭দিনে সময় বেধে দিয়েছিল সংগঠনটি। ১৯ জানুয়ারি এ সময়সীমা শেষ হবে। নাজমুল হক বলেন, গত ২০১০ সালের জুন মাসে সরকার কমিশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তাবায়ন করেনি।  এরমধ্যে সরকার কয়েক দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু তেলের কমিশন বাড়ায়নি। এতে পেট্রোল পাম্প মালিকরা তিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপর কয়েকবার সুযোগ দিলেও আলোচনার কথা বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে সরকার।
সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি তারা সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দিলেও তাতে সাড়া মেলেনি। ধর্মঘট হলে সারাদেশে প্রায় ৯ হাজার পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে পরিষদের নেতারা জানান। কমিশন বাড়ানো ছাড়া অন্য দাবির মধ্যে উলেখযোগ্য হচ্ছে- ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানো, শ্রমিকদের দুর্ঘটনা বীমা ৫ লাখ করা, তেল ডিপোর টার্মিনাল সংস্কার, ভেজাল রোধে বিএসটিআই’র টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ। সরকার গত ৩ জানুয়ারি রাতে চার ধরণের জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ওই রাতেই বিতরণ কোম্পানিগুলোর কমিশন ৩ থেকে ৫ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। নাজমুল হকের দাবি, কমিশন বাড়ানোর পরও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি লরিতে (৯ হাজার লিটার)  তেল পরিবহনে তাদের বাড়তি ৬৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। একই কথা পেট্রোলও অকটেনের ক্ষেত্রেও। এ কারণে তারা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।