চট্টগ্রাম: নিউজডেস্ক : দেশের জনগণকে জনসম্পদে পরিণত করে দেশকে স্বনির্ভর করে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেছেন,‘আমাদের দক্ষ জনসম্পদকে ব্যবহার করা গেলে বিদেশিদের কাছে আর ধার চাইতে হবে না। বিদেশিদের কাছে ধার চেয়ে তাদের আর ছবক শুনতে চাই না।”দারিদ্রকে প্রধান শত্রু আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একমাত্র শত্রু দারিদ্র। এ দারিদ্র দুর করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যদি আমরা বিজয় অর্জন করতে পারি তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কেন বিজয় অর্জন করতে পারবো না।’ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর ৫৪ তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দেশকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে যাতে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে সে লক্ষে কাজ করতে হবে।’চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মার্ণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকৌশলীদের কাছে জবাব চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,‘ চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা অনেক কিছু করেছি। চট্টগ্রাম বন্দর এখন আন্তর্জাতিক মানের বন্দর। কিন্তু আমার প্রশ্ন বহদ্দারহাটে যে দুর্ঘটনা ঘটলো তা কেন ঘটলো, তার জবাব আপনাদের দিতে হবে। কারণ এ কাজের সঙ্গে আপনাদের কেউ না কেউ তো জড়িত ছিল। এ প্রশ্নের উত্তর আমি চাই।‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘আজ আমি খুবই দু:খ ভারাক্রান্ত মনে বলছি আগামীতে যাতে এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।‘ দেশের সব ধরণের উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,যে কাজই আপনারা করেন না কেন তার মান যেন ভালো হয়, টেকসই হয়। সেদিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দেয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা চাই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে উন্নয়ন ঘটুক। আমাদের নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়ার কথা থাকলেও এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে গেছে। গড়ে তোলা হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র। তথ্য সেবা কেন্দ্রের কি সুবিধা এবার মালয়েশিয়া যেতে রেজিস্ট্রেশন‘র সময় মানুষ বুঝতে পেরেছে।‘ গ্যাস, বিদ্যুত, সড়ক যোগাযোগসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সরকারের লক্ষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।‘দেশে বিশ্ব মানের প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলী রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতির ঝিল প্রকল্প হওয়ার পরে সবার দৃষ্টি খুলে গেছে। আমাদের দেশেও দক্ষ কারিগর আছে। বিশ্ব মানের কাজ আমরাও করতে পারি।‘ তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলকে বিশ্বমানের করতে চাই। আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা বিশ্বের যে কারো সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রকৌশলীদের মনোযোগী হতে হবে।‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিকল্প জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয় যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, স্বল্প ব্যয়ে বাড়িঘর নির্মাণের কৌশল ও প্রযুক্তি উদ্ধাবনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে বেলা ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ(আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সামনে স্থাপিত অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো.নুরুল হুদার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। আইইবি’র এ কনভেনশনে দেশ বিদেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দেশকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে যাতে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে সে লক্ষে কাজ করতে হবে।’চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মার্ণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকৌশলীদের কাছে জবাব চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,‘ চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা অনেক কিছু করেছি। চট্টগ্রাম বন্দর এখন আন্তর্জাতিক মানের বন্দর। কিন্তু আমার প্রশ্ন বহদ্দারহাটে যে দুর্ঘটনা ঘটলো তা কেন ঘটলো, তার জবাব আপনাদের দিতে হবে। কারণ এ কাজের সঙ্গে আপনাদের কেউ না কেউ তো জড়িত ছিল। এ প্রশ্নের উত্তর আমি চাই।‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘আজ আমি খুবই দু:খ ভারাক্রান্ত মনে বলছি আগামীতে যাতে এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।‘ দেশের সব ধরণের উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,যে কাজই আপনারা করেন না কেন তার মান যেন ভালো হয়, টেকসই হয়। সেদিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দেয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা চাই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে উন্নয়ন ঘটুক। আমাদের নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়ার কথা থাকলেও এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে গেছে। গড়ে তোলা হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র। তথ্য সেবা কেন্দ্রের কি সুবিধা এবার মালয়েশিয়া যেতে রেজিস্ট্রেশন‘র সময় মানুষ বুঝতে পেরেছে।‘ গ্যাস, বিদ্যুত, সড়ক যোগাযোগসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সরকারের লক্ষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।‘দেশে বিশ্ব মানের প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলী রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতির ঝিল প্রকল্প হওয়ার পরে সবার দৃষ্টি খুলে গেছে। আমাদের দেশেও দক্ষ কারিগর আছে। বিশ্ব মানের কাজ আমরাও করতে পারি।‘ তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলকে বিশ্বমানের করতে চাই। আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা বিশ্বের যে কারো সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রকৌশলীদের মনোযোগী হতে হবে।‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিকল্প জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয় যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, স্বল্প ব্যয়ে বাড়িঘর নির্মাণের কৌশল ও প্রযুক্তি উদ্ধাবনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে বেলা ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ(আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সামনে স্থাপিত অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো.নুরুল হুদার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। আইইবি’র এ কনভেনশনে দেশ বিদেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।