বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৩

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারী : চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চাকরি জাতীয়করণ, ননএমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত এবং প্রাইভেট টিউশনি বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা সকাল ৭টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে থাকে।
বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। এদিকে শিক্ষকদের ধর্মঘটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রেসক্লাব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামান। শিক্ষকদের ধর্মঘটের কারণে শাহবাগ, প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় বিপুল যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, ৫০০ টাকা ভাতা বাড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের ভিক্ষা দিয়েছেন। তার এই ভিক্ষা আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। জাতীয়করণ ছাড়া আর কিছুই আমরা মানি না। এই দাবি মানার আগে আমরা ঢাকা ছেড়ে যাবো না। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার দুপুরে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার ঘোষণা দেন। শিক্ষামন্ত্রী বর্ধিত এই ভাতা ১ জানুয়ারী থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ার পরই সব শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠন তা প্রত্যাখ্যান করে চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট মন্ত্রীর ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মহা-অবস্থান কর্মসূচি বহাল রাখার ঘোষণা দেয়। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘোষণাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে। চাকরি জাতীয়করণের এক দফা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণসহ ১৭ দফা দাবিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো গত ১০ জানুয়ারী থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করে আসছে।